Header Ads

ব্রেকিং দা ম্যানেজার ট্যাকটিক্স: জিয়ান পিয়েরো গাসপারেনি

Atalanta BC v Cagliari - Serie A : News Photo

 আটালান্টা বিসি ক্লাবের শতবছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগ অভিষেক হয় ২০১৯ সালে। এই সাফল্যের নায়ক বললেই মুখে আসে আলেসান্দ্রো পাপু গোমেজ, জোসেপ ইলিচিচ, থুবান জাপাটার নাম। কিন্তু পর্দার আড়ালে নায়ক আরেকজন- স্বয়ং ম্যানেজার গাসপারেনি। ডাগ আউটে আটালান্টার প্রাণের সঞ্চার ঘটান এই নায়ক।


গাসপারেনির ট্যাকটিক্স ক্লাসিক ইতালিয়ান ট্যাকটিক্স থেকে অনেক ভিন্ন। ইতালিতে বর্তমানে সবচেয়ে মারাত্মক এটাকিং টিম বললে আটালান্টা-ই এখন প্রথম। এই সিজনে সিরি আ তে সবচেয়ে বেশি গোল করা টিমও এই আটালান্টা-ই।

ডিফেন্ডিং ট্যাকটিক্স: গাসপারেনি ম্যান মার্কিং ডিফেন্স দিয়ে নিজের ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক্স সাজায়। ৩-৪-৩ বা ৩-৫-২ ফর্মেশনে স্টার্ট করে। ডিফেন্সিভলি উভয় হয়ে যায় ৫-৩-২। গাসপারেনির সাফল্যের অন্যতম রিজন হলো তার রিস্ক নেওয়া ক্ষমতা। ম্যান টু ম্যান মার্কিং এর ক্ষেত্রে ডি বক্সের সামনে মার্কিং ইনটেন্স লেভেলের হয়।  স্পেস ক্রিয়েটের সুযোগ কম করার চেষ্টা করে। তবুও আটালান্টার ডিফেন্সিভ ট্যাকটিক্স ইতালির এলিট ক্লাব গুলো থেকে অনেকটাই দুর্বল। তার অন্যতম কারণ হলো ডিফেন্সে স্ট্রং এবং ভালো এরিয়াল এবিলিটি সম্পন্ন প্লেয়ারের ঘাটতি। আটালান্টার ব্যাক লাইন অনেকটা ডিপে থাকে। প্লেয়ার টু প্লেয়ার স্পেসিং বেশি থাকে। প্রেসিং টিম অনুযায়ী সবসময় চেঞ্জ করে গাসপারেনি। হাই প্রেসিং এ সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাওয়া টিম আটালান্টা-ই। অপনেন্টের সেন্টার ব্যাকরা বেশিক্ষন বল নিজেদের কাছে রাখলেই ফরওয়ার্ড লাইন অল আউট প্রেস করে বল উইন করে।

এটাকিং ট্যাকটিক্স: ৩-৪-৩ বা ৩-৫-২ এ গাসপারেনির এটাকিং ফর্মেশন হয় ৩-২-৫।  এটাক পুরোটাই সাজানো হয় ইলিচিচ-গোমেজ-জাপাটা নির্ভর। গোমেজ অনেক নিচে থেকে বল রিসিভ করে ড্রিবলিং করে উপরে উঠে। জাপাতা আর ইলিচিচ নিজেদের আইসোলেট করে গোমজের জন্য স্পেস ক্রিয়েট করে। ইলিচিচ- গোমেজ কেমেস্ট্রি আরেকটা মুখ্য ভুমিকা রাখে আটালান্টার কাউন্টার এটাকে।প্লেয়ার টু প্লেয়ার ডিফেন্স থেকে বল উইংব্যাকে সাপ্লাই দেয় ডিফেন্ডাররা। এক্ষেত্রে দুইজন সেন্টার মিডফিল্ড হোল প্লেয়ার হিসেবে কাজ করে একজন ডিফেন্সিভ সিল্ড হিসেবে কাজ করে। উইংব্যাকরে সচারাচর বল ক্রস করে যেহেতু তাদের এক্সাপার্ট হেডার অফ দা বল জাপাটা আছে। 

প্লেয়ারস কন্ডিশন: গাসপারেনির ফর্মেশনে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় উইং ব্যাকদের।  সৌভাগ্যের কথা হলো গাসপারেনির সেরকম উইংব্যাক আছে। ডিফেন্সেভলি সলিড না হলেও ট্যাকনিক্যালি সুইটেবল গোসেনস এবং হেটেনবাওয়ের আছে। গাসপারেনির আছে একজন পারফেক্ট প্লেমেকার: আলেসান্দ্রো গোমেজ। সাথে কোয়ালিটি হোল প্লেয়ার হিসেবে - ডি রন আছে। হাই প্রেসিং না করার কারণে স্ট্যামিনা সেভ করে লাস্ট মিনিট কাউন্টারে যাওয়ার মতো অনেক এনার্জি-ই থেকে যায় প্লেয়ারদের।
 
উইকনেস: গাসপারেনির সবচেয়ে বড় উইকনেস হলো ডিফেন্স। স্পেসড ডিফেন্সে আনমার্কড প্লেয়ার লং বলের মাধ্যমে কাউন্টার করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই সিজনেও আটালান্টার বেশির ভাগ গোল এই স্পেসের কারণেই হয়েছে। ব্যাক লাইন অনেক ডিপ হওয়ায় অফসাইড ট্র‍্যাপ অনেকটাই অকার্যকর। সাথে ডিফেন্সের সামন্য ভুল গোলের চান্স অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

গাসপারেনির হাতেই হয়ত লেখা হতে লেখা হতে পারে আটালান্টার সোনালি ইতিহাস। ২ বছর আগেও যারা ইউরোপা লীগও খেলতে পারতো না,তারাই এখন চ্যাম্পিয়নস লীগে ইতালির প্রতিনিধি।

©মোহাম্মদ পারভেজ

No comments

Powered by Blogger.